সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৪ সালে নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
আপনি কি সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৪ সালে নিতে চান? তার জন্য সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি ঠিক জায়গাতেই ক্লিক করেছেন। সেখানে আপনি জানতে পারবেন সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৪ সালে নেওয়া প্রক্রিয়া এবং সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
সোনালী ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ও দিয়ে থাকে। আবার প্রাবাসীদের জন্য ও সোনালী ব্যাংক প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে। এছাড়া সোনালী ব্যাংক লোন কিস্তি আকারে ও দিয়ে থাকে যাতে সোনালী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক কম হয়। তাই আপনি যদি লোন নিতে চান তাহলে সোনালী ব্যাংক লোন ফরম তুলে আবেদন করতে পারেন।
ভূমিকা: সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৪ - সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম
সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৪ সালে নিতে হলে সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা জরুরি। সোনালী ব্যাংক বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে লোন প্রদান করে থাকে। প্রথমে আপনাকে তাদের জানাতে হবে আপনি আসলে তাদের থেকে কোন লোনটি নিতে চান এবং কেনো নিতে চান। তা সোনালী ব্যাংক লোন ফরম এ উল্লেখ করতে হবে।
পোস্ট সূচিপত্র:
আপনার সকল কাজপত্র ঠিক থাকলে ১৫ থেকে ১ মাসের মধ্যে সোনালী ব্যাংক কতৃপক্ষ আপনাকে লোন প্রদান করতে পারে। সোনালী ব্যাংকে লোন নেওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে সুদের হার অনেক কম হয়ে থাকে এবং অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি টাকা লোন নেওয়া যায়। সোনালী ব্যাংকের লোন সর্ম্পকিত আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ন লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৪ - সোনালী ব্যাংক লোন
বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্যিক ও প্রধান রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক যা দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে লোণ প্রদান করে থাকে। সাধারণত ব্যাক্তিগত, ক্ষুদ্র ব্যবসা, বিভিন্ন পেশায় কর্মরত ব্যাক্তি ও শিক্ষক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সোনালী ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে। সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৪ এর আরো কিছু ধরন রয়েছে নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো-
ব্যক্তিগত লোন: ব্যক্তিগত লোন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা লোন। ধরুন আপনি বা আপনার পরিবারের কারোর বড় ধরনের কোন অসুখ হলো, সেক্ষেত্রে আপনি সেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে লোন নিতে পারবেন। এছাড়া ব্যক্তিগত লোনের মধ্যে রয়েছে বিবাহ লোন, যা সাধারণত বিবাহ করার ক্ষেত্রে নেওয়া হয়ে থাকে। আবার আপনি যদি ভ্রমনে যেতে চান সেক্ষেত্রে ও ভ্রমন লোন সোনালী ব্যাংক হতে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ইসলামী ব্যাংকের সেবা সমূহ
শিক্ষা লোন: আপনার সন্তানকে যদি উচ্চ শিক্ষার জন্য লোন নিতে চান তাহলে ও সোনালী ব্যাংক আপনাকে শিক্ষা লোন দিতে পারে। আবার আপনার পরিবারের কাউকে বিদেশে পড়াশোনার জন্য পাঠাতে চাইলে সেক্ষেত্রে ও শিক্ষা লোন নিতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে বিদেশে পড়াশোনার বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
গৃহলোন: আপনি যদি বাড়ি কেনা বেঁচা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে ও লোনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আপনি যদি বাড়ি নির্মাণ, মেরামত বা ফ্ল্যাট ক্রয় করতে চান তাহলে ও আপনি সোনালী ব্যাংক হতে লোন নিতে পারবেন। তবে এজন্য আপনি যে খাতে লোন নিতে চান সেই খাতের দলিল বা প্রয়োজনীয় কাগজ ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
কৃষি লোন: সোনালী ব্যাংক কৃষিক্ষেত্রে ও লোন প্রদান করে থাকে। কৃষকদের অগ্রগতি এবং তাদের উন্নয়নশীল ফসল উৎপাদনে এই লোন প্রদান করা হয়ে থাকে। কৃষকরা এই লোন গ্রহন করে তাদের উৎপাদনশীল ফসলের মাত্রা বাড়িয়ে ব্যাংকের লোন পরিশোধ করতে পারবেন। তাই কৃষকদের জন্য কৃষি লোন সবচেয়ে বেশি উপযোগী।
ব্যাবসায়ীক লোন: আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। তাহলে সোনালী ব্যাংক থেকে আপনি ব্যাবসায়ীক লোন নিতে পারবেন। আপনার ব্যবসা যদি অনেক ছোট ও হয়, সেক্ষেত্রে ও লোন নিতে পারবেন। তবে লোনের পরিমান অনেক কম হতে পারে। তবে আপনার ব্যবসা যদি বড় হয়, তাহলে অনেক বেশি টাকা ব্যাবসায়ীক লোন হিসেবে নিতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম
বাংলাদেশে অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সোনালী ব্যাংক নানা ধরনের লোন সেবা প্রদান করে থাকে। সোনালী ব্যাংকে থেকে লোন নিতে হলে এর কিছু নিদিষ্ট নিয়ম রয়েছে, যেগুলো মেনে এবং নিদিষ্ট কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়ার মাধ্যমে তবেই লোন নিতে হয়। চলুন জেনে নেই সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৪ সালে নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৪ নেওয়ার পূর্বশর্ত সমূহ:
- আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। এর বেশি হলে আরো ভালো হয়।
- আপনার একটি নিদিষ্ট ইনকাম থাকতে হবে। হতে পারে তা কোন চাকরি অথবা কোন কর্মক্ষেত্র।
- ব্যাংকে জামানত হিসেবে কিছু কাগজপত্র বা দলিল রাখতে হবে।
- লোন নেওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই ১ জন বা ২ জন গ্যারান্টার প্রয়োজন হবে।
- আপনি কোন খাতে লোন নিতে চান তা নির্ধারন করে আবেদন করতে হবে।
- আপনাকে সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে লোন নেওয়ার আবেদন ফরম সংগ্রহ করে তা সঠিক ভাবে পূরণ করে আরো অন্যান্য যে কাজপত্র চাইবে তা যুক্ত করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসর্পোট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি যুক্ত করতে হবে। আপনার যদি পরিচয়পত্র না থাকে এবং আপনি যদি শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
- আপনার সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি রঙ্গিন ছবি এর বেশি ও লাগতে পারে।
- আপনার ইনকাম সোর্সের দলিল। হতে পারে সেটি বেতন রিসিট বা ব্যাবসার রেজিস্ট্রেশন সনদ।
- আপনার গ্যারান্টার বা যে আপনার রিফরেন্স তা পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- আপনার ঠিকানার সত্যায়িত কপি সেটি হতে পারে চেয়াম্যান বা মেয়র কৃতক নাগরিকত্ব।
- আপনার সোনালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এবং সেখানে সর্বোনিম্ন ১০০০ টাকা জমা রাখতে হবে।
এই সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর ব্যাংক কতৃপক্ষ আপনার আবেদন এবং আপনার সকল কাগজপত্র মূল্যয়নের মাধ্যমে আপনাকে লোন দেওয়ার বিবেচনা করবে। আপনার সকল কিছু ঠিক থাকলে আপনার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনাকে একটি নিদিষ্ট পরিমান অর্থ লোন দেওয়ার সুপারিশ করবে।
আপনার লোন দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ন হলে আপনাকে ১৫ থেকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যেমে আপনাকে লোন প্রদান করা হবে। এরপর প্রতিমাসে একটি নিদিষ্ট পরিমান অর্থ আপনাকে দেওয়ার টাকার উপরে সুদ আরপ করা হবে। যা ফেরত দেওয়ার সময় সেই সুদ সমেত ফিরত দিতে হবে।
সোনালী ব্যাংক প্রবাসী লোন
সোনালী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করে থাকে প্রবাসীদের জন্য। সেই সকল প্রবাসীরা এই লোন পেয়ে থাকেন যারা বর্তমান সময়ে প্রবাসে অবস্থান করছেন অথবা যারা প্রবাসে ছিলেন কিন্তু বর্তমান সময়ে দেশে অবস্থান করছেন। তাদের জন্য সোনালী ব্যাংক লোনের সুব্যবস্থ্যা রখেছেন। চলুন জেনে নেই সোনালী ব্যাংক প্রবাসী লোন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত।
সোনালী ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য ২ ধরনের প্রবাসী লোনের ব্যবস্থা চালু রেখেছে। একটি হলো প্রবাসী কর্মসংস্থান লোন এবং অপরটি হলো প্রবাসী পার্সোনাল লোন। প্রবাসী কর্মসংস্থান লোনে আপনি বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রহন করতে পারবেন। আর প্রবাসী পার্সোনাল লোন হলো আপনি বিদেশে অবস্থাতরত অবস্থায় পরিবারের জন্য বা কোন কর্মসংস্থান তৈরী করার জন্য লোন নিতে পারবেন।
প্রবাসী লোনের আবেদন প্রক্রিয়া:
- আপনাকে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে অথবা ব্যাংকে গিয়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে তার পূরন করে এবং সাথে যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজন তা জমা দিতে হবে।
- সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকা এবং তাতে কিছু পরিমান অর্থ জমা রাখা বাধ্যতা মূলক।
- আপনাকে আপনার পাসপোর্ট, টিন সার্টিফিকেট, ওয়াক পারমিটের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- আপনার বেতনের প্রমান বা বেতনে যেকোন কাগজ জমা দিতে হবে।
- এছাড়া আপনার নিকটস্থ দুইজন জমিনদাতার প্রয়োজন হবে।
আপনার এই সকল তথ্য সঠিক হলে এবং ব্যাংক থেকে আপনার সকল তথ্য মূল্যয়ন করার পর আপনাকে যদি লোন দেওয়ার জন্য নির্বাচন করেন। তাহলে আপনি এই প্রবাসী লোন আগামী ১ মাসের মধ্যে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পেয়ে থাকবেন। চেষ্টা করুন আপনার সকল তথ্য সঠিক প্রদান করার, তাহলে লোন অতিদ্রুত পাওয়া সম্ভব।
সোনালী ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের ২০২৪
সোনালী ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ও দিয়ে থাকে। এই ধরনের লোনগুলো সাধারণত অনেক সহজ শর্ত এবং কম সুদে দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ের উপর এই লোন দিয়ে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে বাড়ি বা গাড়ি কেনার জন্য লোন, ব্যক্তিগত লোন এবং শিক্ষাগত লোন। আপনি যদি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে এই বিষয়গুলোর উপরে লোন নিতে পারবেন।
- বাড়ি কেনার জন্য লোন: আপনি সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি লোনে বাড়ি করতে চান, সেক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক সহজ শর্তে আপনাকে লোন দিতে পারে।
- গাড়ি কেনার জন্য লোন: সরকারি চাকরিজীবীরা গাড়ী কেনার জন্য ও সোনালী ব্যাংকে থেকে লোন নিতে পারেন।
- ব্যক্তিগত লোন: যারা সরকারী চাকরিজীবী তারা চিকিৎসা খাতে, বিবাহ উপলক্ষে এবং নিজে ব্যবসা দাঁড় করাতে ব্যক্তিগত লোন নিতে পারেন।
- শিক্ষা লোন: আপনার সন্তানদের উচ্চশিক্ষা বা বিদেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক হতে লোন নিতে পারবেন।
চাকরিজীবীদের লোন পাওয়া পদ্ধতি:
আপনি সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে অথবা সোনালী ব্যাংকের কোন শাখায় গিয়ে ফরম পূরন করতে করবেন। সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ( উপরে উল্লেখ করা রয়েছে) জমা দিতে হবে। যার মধ্যে বিশেষ করে যেই কাগজপত্র গুলো অনেক বেশি প্রয়োজন তাহলো আপনি যে চাকরিজীবী তার দলিল, বেতনের রশিদ, আপনার পরিচয় পত্র এবং তার সত্যায়িত ঠিকানা। আপনার সকল কিছু ঠিক থাকলে আপনাকে সোনালী ব্যাংক কতৃপক্ষ লোন প্রদান করবে একটি নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে।
চাকরিজীবীদের লোন নেওয়ার সুবিধা:
- চাকরিজীবীদের অনেক দীর্ঘ মেয়াদী লোন প্রদান করা হয়ে থাকে।
- লোন থেকে যে সুদ আসে তার পরিমান অনেক কম হয়ে থাকে।
- চাকরিজীবীদের অনেক সহজ শর্তে লোন প্রদান করে থাকে।
- এছাড়া সোনালী ব্যাংক চাকরিজীবীদের লোন প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত করে থাকে।
- সোনালী ব্যাংক হতে চাকরিজীবীরা অনেক বড় অংকের লোন পেয়ে থাকেন।
সোনালী ব্যাংক লোন ফরম
সোনালী ব্যাংকে লোন নেওয়ার সময় এই লোন ফরম অনেক গুরুত্বপূর্ন। এই লোন ফরম ছাড়া আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহন করতে পারবেন না। এই ফরমটি আপনি সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে অথবা সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পেয়ে থাকবেন। যেখান থেকে আপনাকে এটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। সোনালী ব্যাংকের লোন ফরম ডাউনলোড করতে এই লিংকে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি এই লোন ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক লোন কিস্তি
সোনালী ব্যাংক থেকে আপনি যদি লোন নিয়ে থাকেন তাহলে একটি নিদিষ্ট সময় পর গিয়ে আপনাকে নিদিষ্ট পরিমান অর্থ কিস্তি হিসেবে জমা করতে হয়। এই কিস্তির পরিমান বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই সোনালী ব্যাংক লোন কিস্তি কি হিসেবে কত টাকা দিতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
লোনের পরিমান: আপনি কি পরিমান লোন নিয়েছেন তার উপরে কিস্তি প্রদান করতে হয়। আপনার লোনের পরিমান যত কম হবে আপনার কিস্তির পরিমান তত কম হবে। আর আপনার লোনের পরিমান যত বেশি হবে আপনার কিস্তির পরিমান তত বেশি হবে। তাই আপনার যে পরিমান লোন দরকার এবং যে পরিমান লোন গ্রহন করলে আপনি যথা সময়ে কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন ঠিক সে পরিমান লোন নেওয়ার চেষ্টা করুন।
লোনের সুদের হার: লোন নেওয়ার সময় আপনি যে ধরনের লোন গ্রহন করবেন, তার বিপরীতে নিদিষ্ট সুদের হার থাকে। আপনার সুদের হার যত বেশি হবে আপনার কিস্তি দেওয়া অর্থের পরিমান ও ততবেশি হবে। তাই চেষ্টা করুন কম সুদে লোন গ্রহন করার।
লোনের মেয়াদকাল: সোনালী ব্যাংকের লোনের মেয়াদকাল ৬ মাস থেকে শুরু করে ৮ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনার মেয়াদ কাল যতবেশি হবে আপনি তত সময় নিয়ে কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন। তাই লোন নেওয়ার সময় লোনের মেয়াদকাল বাড়িয়ে নিতে পারেন।
লোনের কিস্তি নিধারর্ণ করা নিয়ম:
আপনি সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে আপনার কিস্তির পরিমান কত তা জেনে নিতে পারবেন। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে লোন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আপনার কিস্তির পরিমান জেনে নিতে পারবেন। তারজন্য আপনি কোন ধরনের লোন নিয়েছেন, আপনার সুদের হার এবং মেয়াদকাল বসিয়ে জেনে নিতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংকে কিস্তি পরিশোধ করার উপায়:
সোনালী ব্যাংকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন। যেটি আপনার কাছে সহজ মনে হয় সেই উপায় ব্যাবহার করে লোন পরিশোধ করার উপায় রয়েছে। আপনি অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন এবং সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে লোন পরিশোধ করতে পরবেন।
- অনলাইন ব্যাংকিং: আপনার যদি সোনালী ব্যাংকে অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, তাহলে সেই অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ব্যাবহার করে কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন।
- সরাসরি ব্যাংকে: আপনি সোনালী ব্যাংকের যে শাখা হতে লোন নিয়েছেন, সেই শাখায় গিয়ে আপনার কিস্তির পরিমান জেনে নিয়ে আপনি কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন।
- ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন: সোনালী ব্যাংকের ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন ব্যবহার করে ও আপনি আপনার লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন।
- মোবাইল ব্যাংকিং: আপনি চাইলে সোনালী ব্যাংকের যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু রয়েছে, তা ব্যবহার করে লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট
সোনালী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট বিভিন্ন বিষয়ের উপর হয়ে থাকে। আলাদা আলাদা বিষয়ের উপরে আলাদা আলাদা ইন্টারেস্ট রেট হয়ে থাকে। আপনি কোন ধরনের লোন নিবেন তার উপরে সুদ নির্ভর করে। আপনার লোনের পরিমানের উপরে সুদ নির্ভর করে। আপনি কত বছরের জন্য লোন নিবেন তার উপরে সুদের হার নির্ভর করে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ের উপর সোনালী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট আলাদা হয়ে থাকে।
সোনালী ব্যাংকের লোন ইন্টারেস্ট রেট সাধারণত ৪% থেকে শুরু হয়ে ১৩.২৫% পর্যন্ত হয়ে থাকে। নিম্নে সোনালী ব্যাংকের লোন ইন্টারেস্ট রেট তালিকা দেওয়া হলো।
লেখকের মন্তব্য: সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৪ - সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, আশা করি সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৪ সালে নেওয়ার নিয়ম কি কি তা জানতে পেরেছেন। এছাড়া সোনালী ব্যাংক প্রবাসী লোন কিভাবে নিতে হয়, সোনালী ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের ২০২৪ সালে কিভাবে নিবেন, সোনালী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট কত এবং কিস্তি পরিশোধ করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।
লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সুদের হার এবং মেয়াদকাল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।
অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url