অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন ২০২৪ - অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন
অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন ২০২৪ সালে কিভাবে নিবেন এবং যারা প্রবাসী রয়েছেন তারা অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন কিভাবেন নিবেন তা জানতে চেয়ে উক্ত আর্টিকেলটিতে ক্লিক করেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন ২০২৪ সালে কিভাবে নিবেন এবং অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন কিভাবেন নিবেন।
এছাড়া কিভাবে অগ্রণী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে অগ্রণী ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আপনার লোনের সুদের হার সম্পর্কে অবগত হবে এবং অগ্রণী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন সহ অগ্রণী ব্যাংক এসএমই লোন কিভাবে গ্রহন করবেন, সুদের হার কত এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত।
পোস্ট সূচিপত্র:
অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন ২০২৪
যারা সরকারি চাকরিজীবী তাদের বিভিন্ন কারনে লোনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। হতে পারে তা কোন বাড়ি ক্রয় করার জন্য বা গাড়ি ক্রয় করা জন্য অথবা জমি ক্রয় করা জন্য লোন গ্রহন করতে পারবেন। সরকারি চাকরিজীবীদের অগ্রণী ব্যাংকে লোন নেওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো তারা ৫ লক্ষ থেকে শুরু করে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহন করতে পারবেন। চলুন আরো বিস্তারিত জেনে নেই অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন ২০২৪ সালে পাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
সরকারি চাকরিজীবীদের লোন পাওয়ার শর্তসূমহ:
- আবেদন করার অবস্থায় আপনাকে বাংলাদেশী সরকারী কোন চাকরিতে অবস্থানরত হতে হবে। আপনি যদি চাকরি ছেড়ে দেন তাহলে বেশি টাকা লোন পাওয়া সম্ভব না।
- আপনার চাকরির বয়সকাল কমপক্ষে ১ বছর বা তার বেশি হতে হবে। ১ বছরের নিচে আপনি অগ্রণী ব্যাংক থেকে লোন পাবেন না।
- আপনার বয়সসীমা কমপক্ষে ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫০ বছর হতে হবে। এর বেশি বা কম হলে চাকরিজীবী লোন পাবেন না।
আবেদনের নিয়ম:
- প্রথমে আপনাকে অগ্রণী ব্যাংকের যে শাখা থেকে লোন নিবেন, সেই শাখা হতে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং যাবতীয় সকল তথ্যাদি দিয়ে আবেদন পত্রটি পূরণ করতে হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স যুক্ত করতে হবে।
- আপনি যে চাকরিতে অবস্থান করছেন তার আইডি কার্ড এবং বেতনের প্রমানাদি দাখিল করতে হবে।
- আপনার সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী কপি দিতে হবে।
- জামানত হিসেবে ২ জন জামিনদাতা পরিচয় পত্র ও যোগ করতে হবে।
- আপনার অগ্রণী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এবং সেখানে কিছু টাকা জমা রাখতে হবে।
- সর্বশেষ আপনাকে অবশ্যই ব্যাংক স্টেটমেন্ট যুক্ত করতে হবে।
- উপরিউক্ত বিষয়াদী যুক্ত হয়ে গেলে আপনি যে শাখা হতে লোন গ্রহন করবেন, সেই শাখায় জমা দিতে হবে। আপনার সকল দলিলপত্র ঠিক থাকলে এবং সেগুলো পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে আপনি অগ্রণী ব্যাংক থেকে লোন পেতে পারেন। এই লোনের টাকা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তাদের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা হবে।
চাকরিজীবীদের লোন নেওয়ার সুবিধা:
- অধিক টাকা লোন নেওয়া যায়। যা ৫ লক্ষ থেকে ২০ কোটি পর্যন্ত হতে পারে।
- অনেক সুদে টাকা লোন দিয়ে থাকে। চাকরিজীবীদের জন্য ৮% থেকে ৯% সুদের হার হয়ে থাকে।
- লোন পরিশোধের সময়কাল অনেক দীর্ঘ মেয়াদী হয়ে থাকে। এই সময়কাল সর্বোনিম্ন ১ বছর এবং সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
- লোনের কিস্তির পরিমান কম হয়ে থাকে, যে কারনে পরিশোধ করতে সুবিধা হয়। এছাড়া আপনার বেতন থেকে মাসিক আকারে বেতন কর্তণ সিস্টেম ও চালু করতে পারেন।
অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন
অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করে থাকে যদি কেউ বিদেশ যেতে চায় সেক্ষেত্রে। এটি প্রবাসীদের জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ। যারা প্রবাসে যাওয়ার জন্য ভিসা পেয়েছেন কেবলমাত্র তারাই এই প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই লোনের সুদের হার মাসে ৯% হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন নিতে আবেদন প্রক্রিয়া।
অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন পেতে কাগজপত্র:
- আপনার একটি দীর্ঘ মেয়াদী পাসপোর্ট থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ৫ বছর বা বছর হলে ভালো হয়।
- আপনার যে ভিসা পেয়েছেন তার ফটোকপি, যা ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
- আপনি বিদেশ যাওয়ার জন্য যে বিমান টিকিট সংগ্রহ করেছেন সেটি জমা দিতে হবে।
- আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- ব্যাংকে আপনার সঞ্চয়ী হিসাব থাকতে হবে।
- কমপক্ষে ২ জন জামিনদার থাকতে হবে। তাদের ছবি এবং ভোটার আইডি কার্ডের ও প্রয়োজন হবে।
সুবিধা:
- অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রদান করে থাকে।
- অন্যান্য ব্যাংকের মতই সুদের হার একই প্রায় ৯% হতে পারে। অবস্থাভেদে সুদের হার কম বেশি হতে পারে।
- দীর্ঘ মেয়াদী লোন পরিশোধ করার সময়। যা সাধারণত ১ বছর ৩ মাস বা দেড় বছর হয়ে থাকে। আপনি চাইলে তা আরো বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন।
- আপনি প্রতিমাসে সহজ কিস্তিতে লোন পরিশোধ করতে পারবেন।
অগ্রণী ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর
আপনি আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আপনার লোনের কিস্তির পরিমান কত টাকা তা জেনে নিতে পারবেন। আপনার কিস্তির পরিমান কত এটি জানার জন্য আপনাকে ব্যাংকে যেতে হবে না। ঘরে বসেই তা জানতে পারনে। তার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে, যে নিয়ম গুলো অনুসরন করে সহজেই জেনে নিতে পারবেন।তার জন্য প্রথমে আপনার মোবাইলে ক্রোম ব্রাউজার থেকে অগ্রণী ব্যাংক ক্যালকুলেটর লিখে সার্চ করতে হবে।
সার্চ করলে উপরে দেওয়ার ছবিমত একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। যেখানে আপনি কত হার সুদে লোন নিয়েছেন, কত বছরের জন্য নিয়েছে এবং টাকার পরিমান কত তা সিলেক্ট করুন অথবা লিখুন। তাহলে আপনি ব্যাংক আপনার মাসিক কিস্তির পরিমান কত টাকা, আপনি কত টাকা সুদ প্রদান করছেন এবং আপনাকে মোট কত টাকা পরিশোধ করতে হবে তা জানতে পারবেন।
অগ্রণী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন - অগ্রণী ব্যাংক এসএমই লোন - অগ্রণী ব্যাংক সিসি লোন
আমরা অনেকেই অগ্রণী ব্যাংক হতে ব্যবসায়িক লোন নিয়ে থাকি নতুন করে ব্যবসা শুরু করা জন্য অথবা ব্যবসাতে উন্নতি করার জন্য। অগ্রনী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন নেওয়ার নিদিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে, যেগুলো সঠিক ভাবে মেনে লোন গ্রহন করা যায়। চলুন জেনে নেই অগ্রণী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন নেওয়া প্রক্রিয়া ও কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।
অগ্রণী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন হিসেবে তিন ধরনের লোন প্রদান করে থাকেন। যার একটি হলো এসএমই লোন, যা ছোট বা মাঝারি ধরনের ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসাতে উন্নতির জন্য পেয়ে থাকেন। ২য় টি হলো কর্পোরেট লোন, যা বড় ব্যবসায়িরা আমদানি ও রপ্তানির জন্য পেয়ে থাকেন। সর্বশেষ কৃষি লোন, কৃষিকাজে উন্নতি করার লক্ষে এই লোন প্রদান করা হয়ে থাকে।
অগ্রণী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- ব্যাংক থেকে আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং সাথে নিম্নে দেওয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগ করতে হবে।
- ব্যবসার বৈধ্য লাইসেন্স থাকতে হবে। সাথে ট্রেড লাইসেন্স ও প্রয়োজন হবে।
- কর প্রদান করার নম্বার বা টিআইএন নাম্বার।
- আপনার ব্যবসার আয় ও ব্যয় কত তার বিবরনি উল্লেখ করতে হবে।
- ব্যাংকে আপনার লেনদেনের হিসার দেখাতে হবে। তা সাধারণত গত এক বছরের দেখালেই হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র।
- সম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- এছাড়া প্রয়োজন হবে ২ গ্যারান্টার। তাদের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র।
ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী আরো অন্যান্য কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত উপরে উল্লেখিত তথ্যসমূহ হলেই অগ্রণী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন পাওয়া সম্ভব। আবেদন পত্রের সাথে এই কাগজপত্র গুলো জমা দিলে আপনি নিদিষ্ট কিছু সময়ের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক কতৃক আপনার সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে লোন প্রদান করবে।
অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন
অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন ও প্রদান করে থাকে। এই লোন শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বা বিদেশে শিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে পেয়ে থাকে। এই লোন তাদের উন্নত জীবনের প্রথম ধাপ হিসেবে কাজ করে। কেবলমাত্র অগ্রণী ব্যাংক এই সেবা প্রদান করে থাকে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বড় একটি পাওয়া। চলুন জেনে নেই অগ্রণী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন সম্পর্কে বিস্তারিত।
স্টুডেন্ট লোন পাওয়া শর্তসমূহ:
- শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার রশিদ বা আইডি কার্ড।
- শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা উল্লেখ করতে হবে।
- লোন পেতে ২ জন জামিদার প্রয়োজন হবে।
- কোন সম্পত্তি থাকলে তা উল্লেখ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র:
- ব্যাংক থেকে স্টুডেন্ট লোন নেয়ার আবেদন পত্র।
- শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্র।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- জামিনদারের জাতীয় পরিচয় পত্র।
- বিদেশে পড়ুাশুনার জন্য পাসপোর্ট অথবা ভিসা।
- প্রয়োজনে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য: অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন ২০২৪ - অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন
প্রিয় পাঠক, আশা করি অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন ২০২৪ সালে কিভাবেন নিবেন, নেওয়ার প্রসেস কি এবং কত টাকা লোন হিসেবে পাওয়া যায় তা বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা প্রদান করে, সুদের হার কত এবং প্রবাসী লোনের মেয়াদকাল কত সে সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।
লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার সুদের হার সম্পর্কে জেনে নিবেন। নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করবেন। এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।
অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url